বাজার মাতাচ্ছে ‘কলা আম’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৬, ২০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নানা প্রজাতির বিদেশি আম। এর মধ্যে নজর কেড়েছে এক ব্যতিক্রমধর্মী আম—যার নাম ব্যানানা ম্যাংগো বা পরিচিত নামেই ‘কলা আম’। দেখতে অনেকটা সাগর কলার মতো লম্বাটে হওয়ায় অনেকেই প্রথমে একে কলা ভেবে ভুল করেন। তবে কাছে গিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি একটি আম, যার রূপে ও গুণে মুগ্ধ সবাই।
থাইল্যান্ডভিত্তিক এই আমের জাতটি এখন দেশের পাহাড়ি অঞ্চল এবং আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। ঢাকার বাজারে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, তারা মূলত রাঙামাটি অঞ্চল থেকে এই আম সংগ্রহ করেন।
বিক্রেতাদের মতে, ব্যতিক্রমী রূপ এবং অতুলনীয় স্বাদের কারণে ‘কলা আম’-এর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। স্বাদে এটি অত্যন্ত মিষ্টি, সুগন্ধি এবং রঙে দুধে-আলতা মেশানো গোলাপি। এর আটি অত্যন্ত পাতলা এবং আশ প্রায় নেই বললেই চলে।
এক বিক্রেতা বলেন, “এই আম দেখতে যেমন চমৎকার, খেতেও অনেক মিষ্টি। আমাদের কাছেও এই আম সহজলভ্য নয়, তাই দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তবে ক্রেতারা খুশি হয়ে কিনে নিচ্ছেন।”
একজন ক্রেতা জানালেন, “আমি আগেও এই আম খেয়েছি। খেতে সত্যিই অসাধারণ। তাই দূর থেকে দেখেই চিনতে পেরে চলে এসেছি। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।”
পরিপক্ক একেকটি আমের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রামের মতো। জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরুর মধ্যেই আমটি পাকতে শুরু করে। সহজ চাষযোগ্য হওয়ায় এটি এখন বাড়ির আঙিনা, ছাদ কিংবা টবেও চাষ করা যাচ্ছে।
কৃষিবিদদের মতে, এই আমের জাতটি যেমন সৌন্দর্যে অনন্য, তেমনি এর রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও। ইতোমধ্যে আকর্ষণীয় রূপ, মিষ্টতা ও স্বাদের জন্য বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে এই জাতের আমের।
বাংলাদেশে এই আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা পেলে এই আম দেশের রপ্তানি খাতেও বড় অবদান রাখতে পারে।