আমবাগানে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:২৫, ২৮ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৬, ২৮ জুন ২০২৫

আম গাছে প্রতি বছর ভালো ফলনের জন্য সময়মতো সুষম সার প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। গাছের বয়স, মাটির পুষ্টিমান এবং জাতভেদে সার প্রয়োগের পদ্ধতি ও পরিমাণ আলাদা হতে পারে। এজন্য সঠিক সার প্রয়োগের নিয়ম জানা প্রয়োজন।
চারা রোপণের সময় সার প্রয়োগ:
চারা রোপণের পূর্বে প্রতি গর্তে:
পচা গোবর – ১০ কেজি
টিএসপি – ৫০০ গ্রাম
এমওপি – ২০০ গ্রাম
জিপসাম – ৩১৩ গ্রাম
জিংক সালফেট – ২৮ গ্রাম
বোরিক এসিড – ৫৯ গ্রাম
সব উপাদান ভালোভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর গর্তের মাটি উল্টে চারা রোপণ করতে হবে।
গাছের বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগ (সারণিভিত্তিক):
গাছ যত বড় হবে, সারের চাহিদাও বাড়বে। সারণি অনুসারে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে মাটির পুষ্টিমান অনুযায়ী পরিমাণ সামান্য কম-বেশি হতে পারে।
সার প্রয়োগের সময় ও পদ্ধতি
-
সেপ্টেম্বর (মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত):
-
গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বোরিক এসিড সম্পূর্ণ পরিমাণে
-
ইউরিয়া ও এমওপি – অর্ধেক করে
-
ফল মটর দানার মতো হলে:
-
বাকি ইউরিয়া ও এমওপি-এর এক ভাগ
-
ফল সংগ্রহের ১ মাস পূর্বে:
-
ইউরিয়া ও এমওপি-এর শেষ ভাগ
-
-
-
সার প্রয়োগের কৌশল:
-
গাছের গোড়া থেকে ১ থেকে ১.৫ মিটার দূরে মাটি হালকা কুপিয়ে সার মিশাতে হবে।
-
গাছ পুরনো হলে দূরত্ব আরও বাড়াতে হবে।
-
সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিতে হবে।
বিশেষ পরামর্শ:
বাংলাদেশে "উত্তম কৃষি চর্চা" অনুসারে, আমবাগানে সার প্রয়োগের আগে মাটির পুষ্টি বিশ্লেষণ করে নেয়া উত্তম। এতে করে কোন পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে তা জানা যাবে এবং সার প্রয়োগ আরও কার্যকর হবে।