গাজীপুরের কাঁঠাল যাচ্ছে ১৫ দেশে, সয়লাব গ্রাম-বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬:০৪, ১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০৪, ১ জুলাই ২০২৫

গাজীপুরের কাঁঠাল যাচ্ছে ১৫ দেশে, সয়লাব গ্রাম-বাজার

গাজীপুরের গ্রামগুলো এখন কাঁঠালে সয়লাব। যেদিকে চোখ যায় শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। বাড়ির উঠান, ঘরের বারান্দা, হাট-বাজার—সবখানে কাঁঠালের ছড়াছড়ি। এই কাঁঠাল শুধু দেশেই নয়, যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৫টি দেশে। বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি হচ্ছে গাজীপুরের কাঁঠাল।

দেশে কাঁঠালের রাজধানীখ্যাত গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। সহজ যোগাযোগব্যবস্থার কারণে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে বাগানের কাঁঠাল কিনে নিচ্ছেন।

শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, এখানকার কাঁঠাল নিয়মিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যসহ ১৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তবে দুঃখের বিষয়, শ্রীপুরে কাঁঠাল সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো হিমাগার। ফলে সংরক্ষণের অভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার কাঁঠাল নষ্ট হয়।

প্রতিবছর মৌসুম শুরু হলে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা থেকে কাঁঠালপ্রেমী ও ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন গাজীপুরে। তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন কাঁঠাল যাচ্ছে বিদেশে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁঠাল চাষের জন্য প্রয়োজনীয় মাটি ও আবহাওয়া গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে বিদ্যমান। এলাকা বন্যামুক্ত হওয়ায় এখানকার চাষিরা কাঁঠাল চাষে আগ্রহী। প্রতি বছর ইরি-বোরো ধান কাটা শেষে শুরু হয় কাঁঠাল বিক্রির মৌসুম।

তবে বাজারজাতকরণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। কাপাসিয়ার ৩২টি হাটে মৌসুমি ফল বিক্রির জন্য আলাদা স্থান না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন কম দামে বিক্রি করতে। ফড়িয়ারা সুযোগ নিচ্ছেন এই পরিস্থিতির।

চাষিরা অভিযোগ করছেন, অর্থকরী এ ফল চাষে নেই সরকারি কোনো উদ্যোগ বা ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ফলন আরও বাড়ানো সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় মোট ৯ হাজার ১০৩ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন। চাষিদের প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও গুণগতমান রক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান।

আরও পড়ুন