বর্জ্য নয়, রপ্তানি পণ্য: মাছের আঁশে বছরে ২০০ কোটি টাকার আয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৫০, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৫০, ২০ জুন ২০২৫

এক সময় ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ এখন বিদেশে রপ্তানি হয়ে আনছে বৈদেশিক মুদ্রা। টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব আঁশ রপ্তানি হচ্ছে চীন, জাপান, কোরিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। প্রতি টন মাছের আঁশ বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪৭০ ডলারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার মাছের আঁশ রপ্তানি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের আঁশে থাকা কোলাজেন খাদ্য, ওষুধ, কসমেটিকস, ব্যাটারি ও কৃত্রিম কর্নিয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এমনকি কিছু দেশে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তিও রয়েছে। দেশে বছরে প্রায় ২৭ হাজার টন আঁশ উৎপাদন হয়, যার ৯০ শতাংশই রপ্তানি হয়।
টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মাছ কাটার সময় আঁশ আলাদা করে বিক্রি করছেন বঁটিওয়ালারা। কেউ কেউ বছরে ৬-৭ মণ আঁশ বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা। মাছের আঁশ পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে তা বিক্রি করা হয়।
তবে গবেষকরা বলছেন, দেশে এই আঁশ থেকে পণ্য তৈরির বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের অভাবে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের উদ্যোগ থাকলে এই খাত হয়ে উঠতে পারে আরও বড় একটি রপ্তানি সম্ভাবনাময় খাত।