বিদেশি মাছ আমদানিতে সতর্ক থাকার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১২, ৩০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:১২, ৩০ জুন ২০২৫

বিদেশি মাছ আমদানিতে সতর্ক থাকার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

জাতীয় মৎস্য নীতিমালা ২০২৫ (খসড়া) প্রণয়নে মৎস্যখাতের টেকসই উন্নয়ন ও মৎস্যজীবীদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

২৩ জুন সকালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অংশীজন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই পশু খাদ্য ও মৎস্য খাদ্য একাকার হয়ে যাচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা খসড়া নীতিমালায় থাকতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে নয়, বরং পরিবেশবান্ধব উপায়ে তা সংরক্ষণ করেই চিংড়ি চাষ করতে হবে। একইসঙ্গে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে শুধু ধ্বংস নয়, বরং জাল তৈরির উপকরণের আমদানিও নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেন তিনি।

বিদেশি প্রজাতির মাছ সম্পর্কে সতর্ক করে উপদেষ্টা বলেন, “প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে অনেক সময় দেশের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিদেশি মাছ প্রবেশ করছে। এসব মাছ একবার প্রকৃতিতে প্রবেশ করলে তা দেশীয় মাছ ও পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হয়ে ওঠে।” তিনি বলেন, এ ধরনের মাছ আমদানি প্রতিরোধে নীতিমালায় কঠোরতা প্রয়োজন।

মৎস্যজীবীদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “মাছের ধরণ অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত সহায়তা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে।” এসময় তিনি মৎস্যখাতকে কৃষির উপখাত হিসেবে না দেখে, কৃষিখাতের মতোই বিদ্যুৎ ছাড়, ভর্তুকি ও সরকারি প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও ফিশ ফার্মার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এফএও'র ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবুল হাসনাত এবং খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. সামছু উদ্দিন।

আরও পড়ুন