ঝুলে আছে ভারত থেকে চাল আমদানির জিটুজি চুক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৯, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৯, ২০ জুন ২০২৫

ভারত থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। চাল আমদানির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও তাতে এখনো সাড়া মেলেনি।
প্রথম চিঠিটি পাঠানো হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে এবং দ্বিতীয়টি গত ১৮ মে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও চাল আমদানি প্রয়োজন হয়। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াও জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানির চল রয়েছে। এ পদ্ধতিতে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
ভারত বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ এবং ভৌগোলিক কারণে সেখান থেকে চাল আমদানিতে পরিবহন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম। তাই ভারত থেকে সুলভ মূল্যে নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য এমওইউ স্বাক্ষরে আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস বিষয়টিকে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান এখনও সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয় নি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানির প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। অনেক সময় চাল সরবরাহের নিশ্চয়তাও থাকে না। জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানির ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধের একটি কাঠামো থাকে, ফলে চাল পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। একই সঙ্গে মূল্য বেশি হলে দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির বিকল্পও খোলা থাকে।