কতটুকু আম খাওয়া নিরাপদ?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১৬, ২৮ জুন ২০২৫

বর্তমানে বাজারে নানা ধরণের ফল পাওয়া যাচ্ছে, তবে সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে আম। শুধু স্বাদ ও ঘ্রাণেই নয়, পুষ্টির দিক থেকেও আম অনন্য। তবে আম খাওয়ার আগে জানা দরকার, কে কতটুকু খেতে পারবেন।
খোসা ও আঁটি বাদ দিয়ে ১০০ গ্রাম আমে থাকে প্রায় ৬৫-৭৫ ক্যালরি, ১৭ গ্রাম শর্করা, ১৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম আয়রন এবং ২২০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি ভিটামিন-এ। পাশাপাশি এতে রয়েছে ১০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম এবং প্রায় ১২ মিলিগ্রাম লাইকোপেন।
অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম ভাতে ক্যালরি প্রায় ১২৫ এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে ২৫ গ্রাম। অর্থাৎ, ক্যালরির দিক দিয়ে ভাত আমের চেয়ে বেশি হলেও, অন্যান্য পুষ্টিগুণে আম এগিয়ে। তাই পরিমিতভাবে আম খেলে ভাতের বিকল্প হতে পারে, যা ক্যালরি ও শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
আমরা সাধারণত নাশতা কিংবা প্রধান খাবারের পর আম খাই। অনেকে আবার রুটি বা দুধ-ভাতের সঙ্গে আম খান, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ রুটি, ভাত ও আম — তিনটিই কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ।
কতটুকু আম খাওয়া নিরাপদ?
-
যদি কারও সকালের নাশতায় থাকে ৭০ গ্রাম রুটি, একটি ডিম এবং কিছু সবজি, তাহলে তিনি সেই নাশতার বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন ২৫০-৩০০ গ্রাম আমের পাল্প (প্রায় ২-৩টি মাঝারি আকারের আম)। তবে এর সঙ্গে অন্য কোনো শর্করা খাওয়া যাবে না।
-
অনেকে মনে করেন খালি পেটে আম খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়, তবে এটা ভুল ধারণা। আম মধ্য সকালে বা বিকেলের নাশতায় খাওয়া যেতে পারে।
খাওয়ার সময় ও নিয়ম:
-
সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবারে আম খেতে চাইলে ভাত বা রুটির পরিবর্তে সমপরিমাণ ক্যালরির আম খেতে হবে।
-
মধ্য সকাল বা বিকেলে অল্প পরিমাণে আম খাওয়া যায়।
-
আমের সঙ্গে অন্য কোনো খাবার নয়—যেমন আম দিয়ে ভাত, মুড়ি বা রুটি নয়।
-
সন্ধ্যার পর আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
-
আম জুস না করে খোসা ছাড়িয়ে চিবিয়ে খাওয়াই ভালো।
-
হৃদরোগীরা, যাঁদের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি, তাঁদের আম খাওয়ায় সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। কিডনির সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরাও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাবেন।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে যারা রয়েছেন, তাঁদের অন্য শর্করা কমিয়ে আম খেতে হবে।
-
শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স, ওজন ও উচ্চতা বিবেচনায় আম দিতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।